1. news@bangalirkonto.com : বাঙালির কন্ঠ : বাঙালির কন্ঠ
  2. info@www.bangalirkonto.com : বাঙালির কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

রণ ক্ষেত্র হাসিনা পাড়া!! আওয়ামী ঘাঁটি গোপালগঞ্জ!!

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

বুধবার এনসিপির পূর্বনির্ধারিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ছিল। তবে এদিন সকাল থেকেই এনসিপি নেতাকর্মীদের গোপালগঞ্জে আগমন ঠেকাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় মহড়া দিতে শুরু করেন। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন তারা। এছাড়া বেশ কয়েকটি জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলা হয় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর। এতে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার, মিনহাজসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।

এদিন বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র এবং লঠিসোঁটা হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন। দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পথসভা শুরুর আগেও একদফা মঞ্চ ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। পরে এনসিপি ও পুলিশ একত্রে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে নির্ধারিত সময়ে সভা শুরু হয়। এতে দলের নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জের মানুষকে আওয়ামী রাজনীতির দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদী রাজনীতির কবর রচনার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মের জমি দখল করেছে, বেইনসাফি করেছে। আমরা সব ধর্মের সমান অধিকার রক্ষা করব। সমাবেশে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন বক্তব্য দেন।

পুলিশ জানায়, এনসিপি নেতাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপর দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে সেখানে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সভা মঞ্চে হামলা চালান। এ সময় সাউন্ডবক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা এনসিপির ব্যানার টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে সেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া এনসিপি নেতাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে, পরে কারফিউ জারি করা হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট